বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম - বায়োমিল ৩ এর দাম কত জানুন বিস্তারিত


প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনার বাচ্চাকে যদি বায়োমিল খাওয়ানোর পরামর্শ ডাক্তার দিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই বায়োমিল ৩ কিভাবে খেতে হবে সে সম্পর্কে জানতে চাইছেন। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে বায়ো মিল তিন খাওয়ানোর নিয়ম এবং বায়োমীল টিনের দাম কত সে সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তো চলুন বন্ধুরা আজকে আর কথা না বাড়ায় জেনে নেই বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম ও বায়োমিল ৩ এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত।

বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম

মূলত এক থেকে দুই বছরে বাচ্চাদের জন্য বায়োমিল ৩ তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে বাচ্চাদের বয়স যখন ০ থেকে ৬ মাস সে সময় ডাক্তাররা বায়োমিল ১ এবং ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের বায়োমিল ২ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বাচ্চাদের বয়স যখন এক বছর থেকে দুই বছর তখন বাচ্চাদের বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

১ থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য কুসুম গরম পানির সাথে ১২ থেকে ১৩ চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে পান করাবেন। বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে খাবার চাহিদা বাড়তে থাকে তাই বয়স আকারে খাবার চাহিদা বাড়তে থাকবে। আবার অনেক সময় বাচ্চারা অতিরিক্ত দুর্বল না হলে এক থেকে দেড় বছরের পর তাদের প্যাকেটের দুধ খাওয়ানোর আর প্রয়োজন পড়ে না।

বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর পূর্বে সর্তকতা

বাচ্চাকে অবশ্যই বায়োমিল ৩খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী বায়োমিল ৩ খাওয়াবেন। কেন না অন্যথায় শিশুর জন্য তা ক্ষতিকারক হতে পারে। বায়োমিল ৩ কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়াবেন না অর্থাৎ প্যাকেটের গায়ে যে পরিমাণ লেখা থাকবে সে পরিমাণেই আপনি বাচ্চাদের খাওয়াবেন।

বায়োমিল ৩ এর দাম কত

বায়োমিল ৩ অনেক ধরনের ওজন অনুযায়ী প্যাকেটজাত করা হয়ে থাকে। তাই প্যাকেট অনুযায়ী এক একটি প্যাকেট বা ওজনের দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমনঃ

  • ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম পড়বে ২৫০ টাকা।
  • ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম পড়বে  ৪৭০ টাকা।
  • ৪৫০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম পড়বে ৫৮০ টাকা।
  • ১ কেজি অর্থাৎ ১০০০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম পড়বে ১৩৫০ টাকা।

উল্লেখিত এই চার ধরনের প্যাকেটগুলো বাংলাদেশের যে কোন সময় পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই আপনি এগুলো কেনার আগে প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ এবং দাম দেখে তারপরে কিনবেন। এতে করে আপনি প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। 

সতর্কতাঃ বায়োমিল ৩ এর প্যাকেট খোলার চার সপ্তাহ হয়ে গেলে কখনোই এই দুধ আর বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে না। কারণ চার সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে সেটি বাচ্চার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হবে।

বায়োমিল কম্পানি কোথায় অবস্থিত

আপনারা হয়তোবা অনেকেই বায়োমিল কোম্পানি কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে জানতে চান। বায়োমিল কোম্পানি বেলজিয়ামে অবস্থিত। এটি একটি প্যাকেট এবং কৌটা জাতীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি। আর এই কোম্পানিটি দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। এবং এই কোম্পানির প্রতিটি পণ্য অনেক বেশি মানসম্মত।

আর যার ফলে প্রত্যেকটি মা তাদের দুধের বিকল্প হিসেবে এই দুগ্ধজাত পণ্যটি বাচ্চাদের পান করিয়ে থাকে। এবং বাচ্চারা দুধের অভাবে মারা না গিয়ে সুস্থ সবল জীবন যাপন করে। বাংলাদেশের নরসিংদীতে বায়োমিলের ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেখানে বেলজিয়াম থেকে আমদানি করে আনা দুধ প্যাকেটজাত করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর ৩৫ টি দেশে ৪০বছর ধরে অভিজ্ঞতার সাথে তারা দুধ সরবরাহ করে ।

শেষ কথাঃবায়োমিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম - বায়োমিল ৩ এর দাম কত জানুন বিস্তারিত

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আলোচনা করেছি বায়ো মিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম এবং বায়োমিল তিনের দাম সম্পর্কে। যে সকল বন্ধুরা বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। বন্ধুরা আপনারা যদি এই আর্টিকেল তারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এ ধরনের আরও অনেক আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি ফলো রাখবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url